The Sundarbans, a unique and ecologically rich region, has been subjected to numerous natural calamities over the centuries. Due to its location along the Bay of Bengal, it frequently experiences cyclones, floods, and earthquakes, causing immense loss of life, wildlife, and property.
Cyclones and Other Natural Disasters in Sundarbans
(1558 – 1897)
- 06.05.1558 – A cyclone lasting 5 hours claimed 500,000 lives.
- 12.10.1688 – A cyclone at Sagar Island killed 60,000 people.
- 17.09.1707 – Cyclone and flood left 9,000 people homeless.
- 03.11.1737 – Cyclone and earthquake killed 317 people.
- 02.04.1762 – Cyclone and earthquake caused 14 deaths.
- 07.05.1810 – A Bengal-wide cyclone took 1,025 lives.
- 22.11.1829 – Earthquake resulted in 1,011 deaths.
- 11.11.1842 – Cyclone killed 171 cattle.
- 05.05.1852 – Cyclone killed 171 people, along with wildlife loss.
- 14.05.1862 – Cyclone caused the death of 3,064 animals.
- 05.10.1864 – Cyclone killed 1,037 people.
- 01.11.1867 – Cyclone caused crop destruction.
- 16.05.1869 – Cyclone led to the death of 142 wild animals.
- 28.11.1871 – Cyclone and flood left 6,000 people homeless.
- 31.10.1876 – Cyclone killed 602 people in Basanti.
- 06.05.1882 – Cyclone and flood made 938 people untraceable.
- 09.04.1890 – Earthquake left 5,000 people homeless.
- 12.06.1897 – Earthquake killed 184 people.
(1900 – 2010)
- 06.11.1900 – Cyclone killed 217 people.
- 17.05.1901 – Cyclone resulted in 698 deaths.
- 21.05.1904 – Cyclone (Tsunami) took 706 lives.
- 15.11.1907 – Cyclone (Seder) killed 706 people.
- 09.11.1908 – Cyclone (Nargis) led to 68 deaths.
- 17.10.1909 – Cyclone caused 698 deaths, 70,654 cattle lost.
- 24.09.1909 – Cyclone killed 432 people.
- 24.09.1917 – Hurricane resulted in 432 deaths, 28,029 cattle lost.
- 1943-1944 – Panchasher Manvantar (Great Famine of Bengal).
- 09.05.1961 – Midnight cyclone killed 11,468 people.
- 11.05.1965 – Cyclone left 32,000 people homeless.
- 01.10.1966 – Cyclone killed 206 animals.
- 10.09.1968 – Cyclone left 32,000 people homeless.
- 28-30.11.1971 – Cyclone killed 708 people.
- 08.10.1978 – Cyclone and flood resulted in 93 deaths.
- 10.04.1981 – Cyclone took 22 lives.
- 29.11.1988 – Cyclone (Hurricane) killed 100 people.
- 26.10.1994 – Cyclone and flood resulted in 52 deaths.
- 29.11.1998 – Cyclone and earthquake killed 16 people.
- 22.05.2007 – Cyclone (Cider) killed 2,000 people.
- 04.11.2008 – Cyclone (Nargis) took 150 lives.
- 25.05.2009 – Cyclone (Aila) resulted in 32 deaths in Sundarbans.
- 17.04.2010 – Cyclone (Laila) killed 17 people.
Cyclone Aila (25.05.2009) – The Most Devastating in Recent History
- Cyclone Aila left thousands of families homeless.
- It damaged 778 km of embankment in Sundarbans, of which 178 km was washed away and 600 km severely damaged.
- It was one of the worst cyclones to hit Sundarbans in recent history.
The Unique Vegetation of Sundarbans
Sundarbans is home to mangrove forests, which are specially adapted trees and plants that can survive in saline swampy waters. These forests grow in tropical seas, bays, deltas, and estuaries where tidal effects are strong.
- Total Embankment in Sundarbans: 3,500 km
- Embankment Damage in Aila (2009): 778 km
- Total Main Rivers in Sundarbans: 8
- Raimongal
- Harinbhanga
- Gosaba
- Matla
- Thakuran
- Saptamukhi
- Muriganga
- Hooghly
Conclusion
The Sundarbans, despite its breathtaking beauty and rich biodiversity, has been vulnerable to extreme natural calamities throughout history. Frequent cyclones, floods, and earthquakes have shaped the region, impacting both human lives and the environment. However, its resilient people and unique ecosystem continue to adapt and survive against these odds.
সুন্দরবনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (১৫৫৮ – ২০১০)
সুন্দরবন একটি অনন্য ও পরিবেশগতভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল যা দীর্ঘ শতাব্দী ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানে প্রায়শই ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং ভূমিকম্প ঘটে, যা ব্যাপক প্রাণহানি, প্রাণী ক্ষতি এবং সম্পদের ধ্বংস ঘটায়।
সুন্দরবনের ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ
(১৫৫৮ – ১৮৯৭)
- ০৬.০৫.১৫৫৮ – ৫ ঘণ্টার ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৫,০০,০০০ জন।
- ১২.১০.১৬৮৮ – সাগর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৬০,০০০ জন।
- ১৭.০৯.১৭০৭ – ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, ৯,০০০ জন গৃহহীন।
- ০৩.১১.১৭৩৭ – ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প, মৃত্যু ৩১৭ জন।
- ০২.০৪.১৭৬২ – ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প, মৃত্যু ১৪ জন।
- ০৭.০৫.১৮১০ – সমগ্র বাংলা জুড়ে ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১,০২৫ জন।
- ২২.১১.১৮২৯ – ভূমিকম্প, মৃত্যু ১,০১১ জন।
- ১১.১১.১৮৪২ – ঘূর্ণিঝড়, ১৭১ গবাদি পশুর মৃত্যু।
- ০৫.০৫.১৮৫২ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১৭১ জন, বন্যপ্রাণীর ক্ষতি।
- ১৪.০৫.১৮৬২ – ঘূর্ণিঝড়, ৩,০৬৪ পশুর মৃত্যু।
- ০৫.১০.১৮৬৪ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১,০৩৭ জন।
- ০১.১১.১৮৬৭ – ঘূর্ণিঝড়, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি।
- ১৬.০৫.১৮৬৯ – ঘূর্ণিঝড়, ১৪২ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু।
- ২৮.১১.১৮৭১ – ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, ৬,০০০ জন গৃহহীন।
- ৩১.১০.১৮৭৬ – ঘূর্ণিঝড়, ৬০২ জন নিহত (বাসন্তী)।
- ০৬.০৫.১৮৮২ – ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, ৯৩৮ জন নিখোঁজ।
- ০৯.০৪.১৮৯০ – ভূমিকম্প, ৫,০০০ জন গৃহহীন।
- ১২.০৬.১৮৯৭ – ভূমিকম্প, মৃত্যু ১৮৪ জন।
(১৯০০ – ২০১০)
- ০৬.১১.১৯০০ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ২১৭ জন।
- ১৭.০৫.১৯০১ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৬৯৮ জন।
- ২১.০৫.১৯০৪ – সুনামি-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৭০৬ জন।
- ১৫.১১.১৯০৭ – সিডর-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৭০৬ জন।
- ০৯.১১.১৯০৮ – নার্গিস-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৬৮ জন।
- ১৭.১০.১৯০৯ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৬৯৮ জন, ৭০,৬৫৪ গবাদি পশুর ক্ষতি।
- ২৪.০৯.১৯০৯ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৪৩২ জন।
- ২৪.০৯.১৯১৭ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৪৩২ জন, ২৮,০২৯ গবাদি পশু নিখোঁজ।
- ১৯৪৩-১৯৪৪ – পঞ্চাশের মন্বন্তর (বাংলার দুর্ভিক্ষ)।
- ০৯.০৫.১৯৬১ – মধ্যরাতের ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১১,৪৬৮ জন।
- ১১.০৫.১৯৬৫ – ঘূর্ণিঝড়, ৩২,০০০ জন গৃহহীন।
- ০১.১০.১৯৬৬ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ২০৬ পশু।
- ১০.০৯.১৯৬৮ – ঘূর্ণিঝড়, ৩২,০০০ জন গৃহহীন।
- ২৮-৩০.১১.১৯৭১ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৭০৮ জন।
- ০৮.১০.১৯৭৮ – ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, মৃত্যু ৯৩ জন।
- ১০.০৪.১৯৮১ – ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ২২ জন।
- ২৯.১১.১৯৮৮ – হারিকেন, মৃত্যু ১০০ জন।
- ২৬.১০.১৯৯৪ – ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, মৃত্যু ৫২ জন।
- ২৯.১১.১৯৯৮ – ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প, মৃত্যু ১৬ জন।
- ২২.০৫.২০০৭ – সিডর-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ২০০০ জন।
- ০৪.১১.২০০৮ – নার্গিস-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১৫০ জন।
- ২৫.০৫.২০০৯ – আইলা-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ৩২ জন (সুন্দরবন)।
- ১৭.০৪.২০১০ – লায়লা-ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যু ১৭ জন।
আইলা (২৫.০৫.২০০৯) – সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়
- আইলা-তে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।
- সুন্দরবনের ৭৭৮ কিমি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ১৭৮ কিমি সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ৬০০ কিমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল।
সুন্দরবনের অনন্য গাছপালা ও বনভূমি
সুন্দরবন পরিচিত এর ম্যানগ্রোভ বনভূমির জন্য, যেখানে এমন গাছপালা জন্মে যা নোনাজল বা কাদাযুক্ত জলাশয়ে টিকে থাকতে পারে। এই ধরনের বনভূমি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় সমুদ্র, উপসাগর, মোহনা এবং বদ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠে, যেখানে জোয়ারের প্রভাব থাকে।
- সুন্দরবনের মোট বাঁধের দৈর্ঘ্য: ৩,৫০০ কিমি
- আইলা-তে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের দৈর্ঘ্য: ৭৭৮ কিমি
- সুন্দরবনের প্রধান নদী: ৮টি
- রাইমঙ্গল
- হরিণভাঙ্গা
- গোসাবা
- মাতলা
- ঠাকুরান
- সপ্তমুখী
- মুরিগঙ্গা
- হুগলি
উপসংহার
সুন্দরবন, তার অপরূপ সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত হলেও, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের এক বিরামহীন ইতিহাস বহন করছে। বারবার ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, এবং ভূমিকম্প সুন্দরবনকে বিপর্যস্ত করেছে, তবে এখানকার মানুষ এবং প্রকৃতি এখনও অবিশ্বাস্য দৃঢ়তার সাথে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।